Header Ads

Header ADS

বিশ্বের সবচেয়ে স্মৃতিধর বৌদ্ধ ব্যক্তি

ছবি - ইন্টারনেট।

পৃথিবীতে অনেক স্মৃতিধর ব্যক্তি রয়েছেন যাদের সম্পর্কে আমরা তেমন একটা জানি না। আবার পত্রিকা-ম্যাগাজিনে স্মৃতিধর কোনো কোনো ব্যক্তির কোনো খবরে হয়তো বিস্মিত হই। কিন্তু আপনি কি জানেন, বিশ্বের সবচেয়ে স্মৃতিধর ব্যক্তিটি কে?

তিনি আর কেউ নন। আমাদের পাশের দেশ বার্মার মিঙ্গুন সায়াডো। ১৯৫৪ সালে বার্মার রেঙ্গুনে তিনি একনাগাড়ে ত্রিপিটকের ১৬০০০ পৃষ্ঠা মুখস্থ আবৃত্তি করেছিলেন। তার সেই অসামান্য কীর্তিকে বিশ্বইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখতে গিনেস বিশ্ব রেকর্ড কমিটি ১৯৮৫ সালে তার স্মৃতি পরীক্ষা করেন। সেখানেও তিনি পূর্বের মতো হুবহু মুখস্থ আবৃত্তি করেন। এরই আলোকে গিনেস বিশ্ব রেকর্ড তাকে মানুষের স্মরণশক্তি’ বিভাগে বিশ্বের সবচেয়ে স্মৃতিধর ব্যক্তির খেতাব প্রদান করে।

মিঙ্গুন সায়াডোর জন্ম ১৯১১ সালে। মাত্র চার বছর বয়সে তিনি পিতৃহারা হন। ৫ বছর বয়সে তাকে পড়ালেখার জন্য বিহারের আশ্রমে ভর্তি করানো হয়। ৭ বছর বয়সে তিনি প্রথম প্রব্রজ্যা জীবনের স্বাদ লাভ করেন, যদিও তা মাত্র কিছু দিনের জন্য। সেই বয়সেই তার স্মৃতিশক্তি দেখে তার দীক্ষাগুরু উ শোভিত সায়াডো বিস্মিত হন, কারণ বিভিন্ন গল্প, ম্যাগাজিন, প্রবন্ধ তিনি অতি অল্প সময়ে মুখস্থ বলতে পারতেন। তবে ১০ বছর বয়সে তিনি স্থায়ীভাবে শ্রামণ্য জীবনে অন্তর্ভূক্ত হন। তখন তার নাম রাখা হয় ‘বিচিত্রাসার শ্রামণ’। ১৩ বছর বয়সে তিনি বিনয় পিটকের উপর পরীক্ষায় বসেন এবং সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হন। এর পরের বছর তিনি পরিয়ত্তি পরীক্ষা দেন এবং অভিধর্ম পিটক থেকে বিভিন্ন বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খ উত্তর দেন। এরপরেও তিনি নানা পরীক্ষায় বসেন ও সফল হন। ১৯৩০ সালে তিনি নিজের গ্রাম থেকে মিঙ্গুন শহরে আসেন এবং সেখানেই ভিক্ষুত্বে আসীন হন। সে বছরই তিনি বার্মা বৌদ্ধসংঘ কর্তৃক দূর্লভ ‘পাতিমোক্ষ’ খেতাবপ্রাপ্ত হন, যেটা বার্মার সর্বোচ্চ ধর্মীয় পরীক্ষায় পাশ করে অর্জন করতে হয়। এভাবে ক্রমান্বয়ে নানা পরীক্ষা ও কাজের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন অভিধায় ভূষিত হন। আমৃত্যু তিনি মিঙ্গুন শহরে ছিলেন বলে তার নাম হয় ‘মিঙ্গুন সায়াডো’।

কোন মন্তব্য নেই

Alitangi থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.